পান পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল
সঠিক পরিচর্যা, সুষম সারের ব্যবহার এবং সঠিক মাত্রায় ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে গাছকে সতেজ, সুস্থ, সবল এবং রোগ-পোকার প্রতিরোধক্ষম করে তোলা সম্ভব। এতে রোগ-পোকার আক্রমণ কমে যায়, খরচ হ্রাস পায়, ফলন বাড়ে ও ভাল দাম পাওয়া যায়। যদিও পান চাষ লাভজনক, তবে এতে যথেষ্ট অর্থ লগ্নী ও যত্নের প্রয়োজন।
এই পোস্টে আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করব, কীভাবে একটি আদর্শ পান বরজ তৈরি করা যায় এবং সফল চাষ নিশ্চিত করা যায়।
১) সঠিক জমি নির্বাচন
- উপযুক্ত মাটি:
- উঁচু, উর্বর, জল নিকাশীযুক্ত দোঁয়াশ বা এঁটেল দোঁয়াশ মাটি পান চাষের জন্য আদর্শ।
- মাটির pH '৭' এর কাছাকাছি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
- বরজের প্লেট:
- বরজের জমির তল বা প্লেট চারপাশের জমি থেকে কমপক্ষে ১০-১৫ সেমি উঁচু রাখতে হবে।
- আবহাওয়া:
- ছায়াযুক্ত, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পান চাষের জন্য উপযুক্ত।
- বীজের হার ও কাটিং:
- কাটিং সামান্য ৪৫° কেটে অর্ধেক অংশ মাটির ভেতর ও বাকি অংশ চোখ বা মুকুল হিসেবে রাখতে হয়।
- দ্বিসারি পদ্ধতিতে ৩-৬ ইঞ্চি লম্বা কাটিং প্রতি শতকে ৪০০-৫০০ টি প্রয়োজন।
২) জমি তৈরি ও মাটি শোধন
- জৈব সার প্রয়োগ:
- প্রচুর পরিমাণে কম্পোস্ট, খইল ও অন্যান্য জৈব সার জমিতে দিয়ে তিন-চারবার চাষ করে ভালভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
- প্লেট তৈরি:
- বরজের জমির তল বা প্লেট পিটিয়ে শক্ত করে নিতে হবে।
- একটি সাদা স্বচ্ছ পলিথিন চাদর দিয়ে কমপক্ষে এক মাস প্লেট ঢেকে রাখতে হবে।
- ফরমালিন শোধন প্রক্রিয়া:
- ১৫ দিন পর পলিথিন তুলে ৬ মিলি/লিটার জলে ৪০% ফরমালিন দ্রবণ দিয়ে প্লেট ভিজিয়ে পুনরায় ঢেকে দিতে হবে।
- ১০ দিন পর আবার একই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৫-১০ দিন পর ভাটি/মাদা/পিলি তৈরি করে চারা লাগানো যাবে।
- বরজে দেওয়া মাটিকে সংগ্রহ করে একইভাবে ফরমালিন ও পলিথিন দিয়ে শোধন করতে হবে – সর্বদা স্বচ্ছ সাদা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
৩) “মা” গাছ নির্বাচন
- স্থানীয় ও উন্নত জাতের নির্বাচন:
- পছন্দ মত জাত নির্বাচন করে স্থানীয় কোন বরজ থেকেই চারা সংগ্রহ করা উত্তম।
- রোগমুক্ত, সুস্থ, সবল ও সতেজ ৪-৫ বৎসরের পুরানো পান গাছ থেকেই চারা বা লতা সংগ্রহ করতে হবে।
- উন্নত জাতের উদাহরণ:
- বাংলা জাত: কালীঢল, বেনারসী, ভবানী, আইমাল, কোরে বাঙাল বা গেঁঠে বাঙাল।
- সাঁচি জাত: বনলতা, সোনালি।
- মিঠাপাতা: থাকার পাতা, গাঁটপালা ও পালামুক্ত হাইব্রিড।
৪) “মা” গাছ শোধন ও লতা (চারা) সংগ্রহ
- পূর্ব প্রস্তুতি:
- “মা” গাছ নির্বাচন করার কমপক্ষে ৭-১০ দিন আগে ঔষধ প্রয়োগ করা উচিত।
- সম্ভব হলে ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে '২' বার ঔষধ প্রয়োগ করুন।
- চারা কাটার প্রক্রিয়া:
- চারা কাটার ৫-৬ দিন আগে গাছের ডগার দিকে ২-৩ সেমি ভেঙ্গে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
- গাছের ওপরকার ১ মিটার মধ্যভাগ থেকে চারা সংগ্রহ করা উত্তম।
- সংগ্রহ প্রক্রিয়া:
- ২-৩টি গাঁটযুক্ত পানের লতা তেরছা (কলস কাট) করে সংগ্রহ করুন।
- শোধন ও ঔষধ প্রয়োগ:
- জৈব ছত্রাকনাশক ও জীবাণুনাশক যেমন “আস্থা টিভি” (ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি) ও “আস্থা পিএফ” (সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স) সারের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
- বিকল্পভাবে, ০.৫% বোর্দোমিশ্রণ বা কপার অক্সি-ক্লোরাইড (“আস্থা কিওর”) ৪ গ্রাম/লি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
- চারা কাটার আগে ধারালো কাস্তে, ব্লেড বা ছুরি দিয়ে স্পিরিট বা আগুনে শোধন করা উত্তম।
৫) চারা/লতা/বীচন শোধন
- শোধনের পদ্ধতি:
- জীবাণু প্রতিরোধে “আস্থা টিভি” ও “আস্থা পিএফ” ২০-২৫ গ্রাম/লি. জলে ২৫-৩০ মিনিট চুবিয়ে নিন।
- অথবা, রাসায়নিক ঔষধ ০.৫% বোর্দোমিশ্রণ বা ক্যাপটান জাতীয় ঔষধ (২ গ্রাম/লি) জলে ২০-২৫ মিনিট চারার গোড়া ডুবিয়ে রাখতে হবে।
- শিকড় বৃদ্ধিকারক হরমোন:
- ছায়াতে শুকানোর পূর্বে “আস্থা রুট মাস্টার”, “রুটেক্স”, “রুটগ্রড”, “কাটিংএড” বা “অক্সিরুট” এর ২-৩ গ্রাম/লি. দ্রবণে ৪-৫ মিনিট চুবিয়ে নিন এবং তারপর ভাটিতে বা পিলিতে লাগান।
৬) লতা/চারা লাগানোর দূরত্ব
- নির্দিষ্ট দূরত্ব:
- দুইটি ভাটি বা পিলির মধ্যে দূরত্ব রাখা উচিত ৫০-৫৫ সেমি।
- দুইটি চারার মধ্যে দূরত্ব থাকা উচিত ১০-১৫ সেমি।
৭) বরজের গঠন
- উচ্চতা ও ছাউনি:
- বরজের উচ্চতা প্রায় ২ মিটার (৬ ফুট) হওয়া বাঞ্ছনীয়।
- প্রখর রোদ এড়াতে ছাউনি ও বেড়ার ব্যবস্থা করা দরকার, যাতে পাতাগুলো ফ্যাকাসে বা সাদাটে না হয়ে যায়।
- বর্ষাকাল ও শীতকালে ছাউনি কমিয়ে হালকা রোদ নিশ্চিত করতে হবে।
- ঠাণ্ডা বাতাস, কুয়াশা ও ঝড়ো হাওয়ার প্রতিরোধে চারপাশের বেড়া ভালো করে দিতে হবে।
৮) সার প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা
সার প্রয়োগের সময়সূচী:
- প্রতি ৪০-৪৫ দিন অন্তর মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করুন।
- প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে সার দিলে ফল ভালো পাওয়া যায়।
প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান:
- ২৫০০-৩০০০ গাছ যুক্ত ৬ কাঠা বরজে নাইট্রোজেন ৭ কেজি, ফসফেট ৩.৫ কেজি (ইউরিয়া/অ্যামোনিয়া জাতীয় সার বর্জন করলে গোড়া পচা রোগের সম্ভাবনা কমে), পটাশ ৭ কেজি প্রয়োজন।
- নাইট্রোজেন ঘটিত সার ব্যবহারের পাশাপাশি “আস্থা অ্যাজো” (৮০০ গ্রাম) ও ফসফেট ঘটিত সার ব্যবহারের সাথে “আস্থা পি এস বি” (৫০০ গ্রাম) ব্যবহার করা যেতে পারে।
গৌণ খাদ্য ও অণুখাদ্য:
- ক্যালসিয়াম: চিলেটেড ক্যালসিয়াম (৫-৬ বার, ০.৫ গ্রাম/লি স্প্রে)।
- ম্যাঙ্গানীজ: ম্যাঙ্গানীজ সালফেট (৪ কেজি/বিঘা)।
- সালফার: আলাদা করে ৩ কেজি/বিঘা মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে, যদি প্রয়োজন না হয় তবে “আস্থা প্রম” বা “সিঙ্গল সুপার ফসফেট” যথেষ্ট।
- অণুখাদ্য: চিলেটেড জিঙ্ক (“আস্থা পাওয়ার জেড” ০.৫ গ্রাম/লি), বোরাক্স/“আস্থা ম্যাক্স বোর” (২ গ্রাম/লি), অ্যামোনিয়াম মলিবডেট (০.৫ গ্রাম/লি) প্রয়োগ করতে হবে।
- প্রতি ২ মাস অন্তর অণুখাদ্য একসাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট গ্রেড অনুযায়ী স্প্রে করতে হবে।
জৈব সার:
- বছরে কমপক্ষে ১০০ কেজি খইল দিতে হবে, যার মধ্যে ৬০ কেজি বাদাম ও সর্ষে এবং ৪০ কেজি নিম (যেমন “আস্থা নীম সুপার”) থাকতে হবে।
- এছাড়াও “আস্থা ভার্মিকম্পোস্ট” ৪০-৫০ কেজি বা অন্যান্য কম্পোস্ট সার ৮০-১০০ কেজি ব্যবহার করা যেতে পারে।
সার ব্যবহারের বিধি:
- জৈব ও রাসায়নিক সার বরজে প্রয়োগের কমপক্ষে ৭-১০ দিন আগে ছায়াযুক্ত, রসযুক্ত অবস্থায় মিশিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
- সরাসরি রাসায়নিক সার বরজে না দিয়ে জৈবসারের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
- গৌণ খাদ্য সরাসরি গোড়াতে না দিয়ে পাতাতে স্প্রে করে দিতে হবে।
৯) ভাঁজ দেওয়া, মাটি দেওয়া ও লতা নামানো
- ভাঁজ/মাটি দেওয়ার সময়:
- লতা নামানোর আগে গোড়ার পাশ ভেঙ্গে নিতে হবে, যাতে লতা নামানোর পর পাতা মাটিতে না পড়ে।
- রোগ প্রতিরোধে লতা নামানোর ঠিক আগে একটি ছত্রাকনাশক (যেমন ০.৫% বোর্দোমিশ্রণ বা কপার ঘটিত ঔষধ) স্প্রে করা উচিত।
- ভাটির মাটি:
- ভাটিতে বা পিলিতে দেওয়ার মাটি আগে তুলে শোধন করে নিতে হবে।
- মাটির উচ্চতা চলার রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি উঁচু রাখতে হবে।
- ভাঁজ দেওয়ার সময়:
- রাসায়নিক সার মিশ্রিত জৈব সার ব্যবহার করে ভাঁজ দেওয়া হয়, যা সাধারণত ৬০-৭৫ দিন অন্তর করা হয়।
১০) জল দেওয়া (সেচ)
- পরিমিত ও ধীরে ধীরে সেচ:
- জল ভাসিয়ে সেচ দেওয়া যাবে না। কলসি, টিন বা সরু পাইপ দিয়ে ধীরে ধীরে হাল্কা সেচ প্রদান করা উচিত।
- গরমের সময় প্রতিদিন হালকা সেচ দিতে হবে।
- জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটিতে বা পাতায় সরাসরি জল ছিটকে না যায়, যা রোগের সম্ভাবনা বাড়ায়।
- জলের মান:
- যে পুকুরে আবর্জনা ফেলা বা পাতায় ধোয়া হয়, সেই জল সেচের জন্য ব্যবহার করবেন না।
- প্রয়োজনে, পুকুরের জল চুন ও পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয়ে শোধন করে নিতে হবে।
আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষের রোগ ও কীট প্রতিরোধ
পান চাষে রোগ ও কীট প্রতিরোধ অত্যন্ত জরুরি, কারণ পানের গুণগত মান ও বাজার মূল্য নির্ভর করে সেগুলোর উপর। এখানে কিছু সাধারণ রোগ ও কীট এবং তাদের প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১) গোড়া পচা রোগ (ফাইটপ্থোৱা জনিত)
- লক্ষণ:
- মাটির সংলগ্ন ডাঁটার মধ্যে কালো দাগ, বর্ষাকালে ডাটা ঘিরে পড়ে, ফলে ডাটা পচে যায়।
- লতা নামানোর পর আক্রান্ত অংশ দ্রুত পচে যায়।
- প্রতিরোধ:
- বর্ষাকালের শুরু থেকে ১% বোর্দ মিশ্রণ দিয়ে প্রতি মাসে গাছের গোড়া ভালোভাবে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- পরবর্তীতে ০.৫% বোর্দ মিশ্রণ ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করুন।
- বিকল্পভাবে “আস্থা কিওর”, “ব্লাইটক্স-৫০” বা “ব্লু কপার” ৪ গ্রাম/লি. হিসাবে স্প্রে করা যেতে পারে।
- ট্রাইকোগার্ড ২৫০ গ্রাম/১০০ লিটার জলে ৩০ দিন অন্তর ভিজিয়ে নিন।
২) গোড়া পচা রোগ (ক্লোরেশিয়াম জনিত)
- লক্ষণ:
- মাটির সংলগ্ন ডাটা ভেজা হয়ে পচে যায়, গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ে।
- সাদা তুলোর মতো ছত্রাকের আবরণ দেখা যায়।
- প্রতিরোধ:
- আক্রান্ত গাছ সম্পূর্ণ তুলে ফেলতে হবে।
- তারপরে ঐ জায়গায় চুন ছড়িয়ে দিলে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যাবে।
- কাঁচা গোবর জল বা বাদাম ও তিসির খইলের ১:১ অনুপাতে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) পাতা পচা রোগ
- লক্ষণ:
- পাতায় কালো বা বাদামী, ভেজা ভেজা পচা দাগ দেখা যায়, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
- প্রতিরোধ:
- বর্ষার আগে থেকে ০.৫% বোর্দ মিশ্রণ ১৫ দিন অন্তর পাতার উভয় দিকে স্প্রে করতে হবে।
- বিকল্পভাবে “আস্থা কিওর”, “ব্লাইটক্স” বা “ফ্লাইটোলান” ৪ গ্রাম/লি. হিসাবে ব্যবহার করুন।
৪) পাতায় দাগ রোগ (কলিট্রোটাইকাম ও ব্যাকটেরিয়া জনিত)
- লক্ষণ:
- পাতায় অসংখ্য কালো বা বাদামী দাগ, প্রতিটি দাগের চারপাশে হলদে ছাপ থাকে।
- আক্রমণের ফলে পাতার দাম কমে যায়।
- প্রতিরোধ:
- ০.৫% বোর্দ মিশ্রণ ব্যবহার করে স্প্রে করুন।
- ৫ লিটার জলে ৬০ গ্রাম কলিচুন ও ৫ লিটার জলে ৫০ গ্রাম তুঁতে ভিজিয়ে, পরদিন ছেঁকে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
৫) কীট নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক প্রতিকার
সাদা মাছি, কালো মাছি, চিরুনী পোকা, দয়ে পোকা, জাব পোকা, মাকড়-হলুদ ও লাল মাকড়:
- পানের পাতা সরাসরি খাওয়া হয়, তাই রাসায়নিক ঔষধের ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে।
- প্রথমে নিমপাতা নির্যাস বা নিমবীজ নির্যাস প্রয়োগ করুন।
- নিমপাতার নির্যাস: ২৫০ গ্রাম কাঁচা নিমপাতা ২৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে, ছেকে ১০ গুণ জল মিশিয়ে স্প্রে করুন (প্রতি লিটার ৪-৫ গ্রাম নরম সাবান মিশিয়ে)।
- নিমবীজের নির্যাস: ১ কেজি শুকনো নিমবীজ ১২ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে, ছেঁকে নিন; তারপর ২৫ লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করুন বা “আস্থা কিলার” ২ মিলি/লি. মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
- ৮-১০ দিন পর রাসায়নিক সর্বাঙ্গবাহী কীটনাশক যেমন “আস্থা ইমিডা ফ্লু” (০.০3 মিলি/লি.), “অ্যাসিটামিপ্রিড” (০.3 গ্রাম/লি.) প্রয়োগ করুন।
- প্রয়োজনে ৭-১০ দিন অন্তর পুনরায় কীটনাশক স্প্রে ও ১৫ দিন অন্তর নিম জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করুন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চাষ:
- বরজ পরিষ্কার রাখুন, পাশের জমিতে অনাবশ্যক ফসল চাষ করবেননা।
- নিয়মিত বরজ পরিদর্শন করে পোকার সংখ্যা ও আক্রমণের মাত্রা নির্ধারণ করুন।
সফল পান চাষের মূল চাবিকাঠি হলো:
- সঠিক জমি নির্বাচন ও মাটি প্রস্তুতি,
- সুস্থ “মা” গাছ থেকে সঠিকভাবে চারা সংগ্রহ,
- সঠিক ছাঁট ও লাগানোর দূরত্ব,
- আদর্শ বরজের গঠন,
- নিয়মিত সুষম সার ও সঠিক ঔষধ প্রয়োগ, এবং
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চাষ।
এই সুসংহত পদ্ধতিতে রোগ, কীট ও অন্যান্য সমস্যার মোকাবিলা করে রোগমুক্ত, সুস্থ-সবল পান উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব।
পাঠকবৃন্দ, যদি আপনারা এই গাইড থেকে উপকৃত হন, তবে শেয়ার, কমেন্ট ও সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।
আপনারা আরও কী ধরনের কৃষি টিপস জানতে চান, তা আমাদের জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন