আস্থা রাইজো বা রাইজোবিয়াম হলো এক ধরনের জীবাণু সার যা ডাল চাষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। এই জীবাণুগুলি ডাল গাছের মূলে জড়িয়ে বসবাস করে এবং বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনকে আমোনিয়া যৌগে রূপান্তরিত করে, যা ডাল গাছ সহজে শোষণ করতে পারে।
কেন রাইজোবিয়াম গুরুত্বপূর্ণ?
আস্থা রাইজো বা রাইজোবিয়াম হলো একটি পরিবেশবান্ধব এবং কার্যকর জীবাণু সার যা ডাল চাষে ফলন
বাড়াতে এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- নাইট্রোজেন স্থিরীকরণ: রাইজোবিয়াম বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনকে গাছের ব্যবহার উপযোগী করে তোলে, যা গাছের বৃদ্ধি এবং ফলন বাড়াতে সাহায্য করে।
- সারের ব্যবহার কমায়: রাইজোবিয়াম ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে হয়, যা পরিবেশের জন্য উপকারী।
- মাটির উর্বরতা বাড়ায়: রাইজোবিয়াম মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়ায় এবং মাটির গঠন উন্নত করে।
- গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রাইজোবিয়াম গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কোন কোন চাষে রাইজোবিয়াম ব্যবহার করা যেতে পারে?
রাইজোবিয়াম মূলত দলীয় ফসল যেমন:
- মটর: সব ধরনের মটর (কালো মটর, সবুজ মটর ইত্যাদি)
- মসুর: সব ধরনের মসুর (লাল মসুর, সবুজ মসুর ইত্যাদি)
- চালি: সব ধরনের চালি
- কুইনোয়া: এই দানাশস্যটিতেও রাইজোবিয়াম ব্যবহার করা হয়
- আলু: কিছু জাতের আলুতেও রাইজোবিয়াম ব্যবহার করা হয়
মনে রাখবেন: বিভিন্ন ফসলের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইজোবিয়াম জাত ব্যবহার করা হয়। তাই ফসলের ধরন অনুযায়ী সঠিক জাতের রাইজোবিয়াম ব্যবহার করা উচিত।
রাইজোবিয়াম ব্যবহারের উপায়:
- বীজের সাথে মিশিয়ে: বীজ বোনার আগে বীজের সাথে রাইজোবিয়াম মিশিয়ে বোনা হয়।
- মাটিতে মিশিয়ে: মাটিতে রাইজোবিয়াম মিশিয়ে তারপর বীজ বোনা হয়।
সতর্কতা: রাইজোবিয়ামকে সরাসরি সূর্যের আলো এবং উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে আনবেন না। এটি জীবন্ত জীবাণু বলে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার পরিবর্তন এর কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন